আজকের ডিজিটাল যুগে, আমরা প্রায় সারাদিনই কোনও না কোনও স্ক্রিনের সামনে কাটাচ্ছি — ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব, এমনকী এলইডি (LED) আলো। কিন্তু এই যান্ত্রিকতার মাঝে আমাদের ত্বক এক অদৃশ্য সমস্যার মুখে পড়ছে, স্ক্রিন থেকে আসা ব্লু লাইটের ক্ষতি।
এই ব্লু লাইট কিন্তু সূর্যের ইউভিএ (UVA) বা ইউভিবি (UVB) রশ্মির মতো নয়, এটি আরও গভীরে প্রবেশ করে ত্বকের ডার্মিস স্তর পর্যন্ত পৌঁছে যায়, যেখানে কোলাজেন ও ইলাস্টিন থাকে। এর ফলে দেখা দেয় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস। অকালে ত্বক বুড়িয়ে যায়, ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে — বিশেষ করে যাঁদের গায়ের রঙ একটু চাপা, তাঁদের ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে।
একটানা ৮ ঘণ্টা স্ক্রিনের সামনে থাকা মানে মাঝ দুপুরে তীব্র রোদে ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার সমান ত্বকের ক্ষতি, এমনটাই জানালেন Lumaè-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা গুঞ্জন শর্মা। তাঁর কথায়, "আমরা যখন প্রতিদিন গড়ে ১০ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় স্ক্রিনের সামনে কাটাই, তখন এটা নিছক অভ্যাস নয়, বরং এক ধরনের আধুনিক স্কিন ইপিডেমিকে পরিণত হয়েছে।"
তাঁর পরামর্শ?
ত্বককে বাঁচাতে দরকার শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট - যেমন অ্যাস্টাক্স্যান্থিন, নায়াসিনামাইড, গ্রিন টি-এর মতো উপাদান।
শুধু স্কিনকেয়ার নয়, সঙ্গে কিছু সাধারণ অভ্যাসও বদলাতে হবে, যেমন মোবাইল বা ল্যাপটপে নাইট মোড চালু রাখা, স্ক্রিন ফিল্টার বা গার্ড ব্যবহার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-সমৃদ্ধ স্কিনকেয়ার রুটিন নিয়মিত মেনে চলা।
ব্লু লাইট থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেওয়ার ৪টি সহজ কিন্তু কার্যকরী স্টেপ:
১) HEV বা ‘blue light protection’ লেখা সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। বাড়ির ভিতরে থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অভ্যাস করে ফেলুন। কারণ স্ক্রিন মানেই তা থেকে ব্লু লাইট এমিশন হবেই।
২) নায়াসিনামাইড, ভিটামিন সি, আয়রন অক্সাইড ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। এগুলি ব্লু লাইটের প্রভাব ঠেকিয়ে ত্বকের ক্ষয় কমায়।
৩) বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে এলইডি (LED) ফেশিয়াল, হাইড্রা ফেশিয়াল-এর মতো স্কিন ট্রিটমেন্ট রুটিনে রাখুন। এগুলি ত্বকের গভীর স্তরে কাজ করে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
৪) স্ক্রিনটাইমের সহজ কৌশল ব্যবহার করুন। স্ক্রিন ব্রাইটনেস কমান, নাইট মোড চালু করুন। ২০-২০-২০ নিয়ম মেনে চলুন অর্থাৎ প্রতি ২০ মিনিটে, ২০ সেকেন্ডের জন্য স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে ২০ ফুট দূরে তাকান। এতে শুধু চোখই নয়, ত্বকেরও বিশ্রাম হয়।
আজকের দিনে স্কিনকেয়ার মানেই শুধু সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা নয় — স্ক্রিন থেকেও সুরক্ষা জরুরি। স্মার্টফোনের মতো ত্বকেরও দরকার ডেইলি চার্জ।
এই ব্লু লাইট কিন্তু সূর্যের ইউভিএ (UVA) বা ইউভিবি (UVB) রশ্মির মতো নয়, এটি আরও গভীরে প্রবেশ করে ত্বকের ডার্মিস স্তর পর্যন্ত পৌঁছে যায়, যেখানে কোলাজেন ও ইলাস্টিন থাকে। এর ফলে দেখা দেয় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস। অকালে ত্বক বুড়িয়ে যায়, ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে — বিশেষ করে যাঁদের গায়ের রঙ একটু চাপা, তাঁদের ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে।
একটানা ৮ ঘণ্টা স্ক্রিনের সামনে থাকা মানে মাঝ দুপুরে তীব্র রোদে ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার সমান ত্বকের ক্ষতি, এমনটাই জানালেন Lumaè-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা গুঞ্জন শর্মা। তাঁর কথায়, "আমরা যখন প্রতিদিন গড়ে ১০ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় স্ক্রিনের সামনে কাটাই, তখন এটা নিছক অভ্যাস নয়, বরং এক ধরনের আধুনিক স্কিন ইপিডেমিকে পরিণত হয়েছে।"
তাঁর পরামর্শ?
ত্বককে বাঁচাতে দরকার শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট - যেমন অ্যাস্টাক্স্যান্থিন, নায়াসিনামাইড, গ্রিন টি-এর মতো উপাদান।
শুধু স্কিনকেয়ার নয়, সঙ্গে কিছু সাধারণ অভ্যাসও বদলাতে হবে, যেমন মোবাইল বা ল্যাপটপে নাইট মোড চালু রাখা, স্ক্রিন ফিল্টার বা গার্ড ব্যবহার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-সমৃদ্ধ স্কিনকেয়ার রুটিন নিয়মিত মেনে চলা।
ব্লু লাইট থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেওয়ার ৪টি সহজ কিন্তু কার্যকরী স্টেপ:
১) HEV বা ‘blue light protection’ লেখা সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। বাড়ির ভিতরে থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অভ্যাস করে ফেলুন। কারণ স্ক্রিন মানেই তা থেকে ব্লু লাইট এমিশন হবেই।
২) নায়াসিনামাইড, ভিটামিন সি, আয়রন অক্সাইড ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। এগুলি ব্লু লাইটের প্রভাব ঠেকিয়ে ত্বকের ক্ষয় কমায়।
৩) বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে এলইডি (LED) ফেশিয়াল, হাইড্রা ফেশিয়াল-এর মতো স্কিন ট্রিটমেন্ট রুটিনে রাখুন। এগুলি ত্বকের গভীর স্তরে কাজ করে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
৪) স্ক্রিনটাইমের সহজ কৌশল ব্যবহার করুন। স্ক্রিন ব্রাইটনেস কমান, নাইট মোড চালু করুন। ২০-২০-২০ নিয়ম মেনে চলুন অর্থাৎ প্রতি ২০ মিনিটে, ২০ সেকেন্ডের জন্য স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে ২০ ফুট দূরে তাকান। এতে শুধু চোখই নয়, ত্বকেরও বিশ্রাম হয়।
আজকের দিনে স্কিনকেয়ার মানেই শুধু সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা নয় — স্ক্রিন থেকেও সুরক্ষা জরুরি। স্মার্টফোনের মতো ত্বকেরও দরকার ডেইলি চার্জ।